ল্যাপটপ কেনার আগে যা জানতে হবে

বর্তমানে মোবাইল ফোনের পাশাপাশি ল্যাপটপের প্রয়োজনীয়তাও বেশ বেড়ে চলেছে। তাই আপনাদের জন্য আমি ল্যাপটপ বিষয়ে এই পোস্টটি নিয়ে আসলাম।


laptop



কি কি লক্ষ্য রেখে ল্যাপটপ কিনতে হবে?


একটি ল্যাপটপ কিনার সময়, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কিছু বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখা উচিত:

  • 1. **ব্যবহারের ধরণ:** প্রথমেই, আপনি ল্যাপটপটি কি কাজের জন্য ব্যবহার করতে চান তা নির্ধারণ করুন। আপনি যদি গেমিং, এডিটিং, মাল্টিমিডিয়ার কাজে ব্যবহার করতে চান, তাহলে একটি গেমিং বা মাল্টিমিডিয়া সম্পর্কিত ল্যাপটপ বেশি উপযুক্ত হতে পারে। আরেকদিকে, যদি আপনি স্বাভাবিক কাজ করার জন্য এবং যাত্রার সময় সাথে নিতে চান, তাহলে পোর্টেবল এবং ব্যাটারি লাইফ উত্তরণযোগ্য ল্যাপটপ নিতে পারেন।

  • 2. **প্রসেসর:** প্রসেসর ল্যাপটপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস । শুধুমাত্র ল্যাপটপ নয় বরং যেকোনো ডিভাইসের জন্যই প্রসেসর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বেশি করে মাল্টিটাস্কিং বা কম্পলেক্স কাজে প্রয়োজনীয় হলে, পাওয়ারফুল প্রসেসর বেশি উপযুক্ত হতে পারে।

  • 3. **র‍্যাম (RAM):** বেশি র‍্যাম ল্যাপটপের পারফরম্যান্স এবং মাল্টিটাস্কিং সাপোর্ট করে। যতটুকু বেশি র‍্যাম, ততটুকু বেশি কাজ সামগ্রী আপনি একসাথে করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র রেম নিলেই হবে না প্রেমের ক্যাটাগরি বুজে র‍্যাম নিতে হবে। র‍্যামের ক্যাটাগরি  বলতে DDR, DDR2, DDR3, DDR4, DDR5 এবং ফ্রিকোয়েন্সি কত তা বুঝায়। DDR, DDR2 এই ক্যাটাগরির র‍্যাম বর্তমানের নেওয়া যাবে না নিলে পারফরমেন্স ভালো হবে না। মিডিয়াম ক্যাটাগরিতে রয়েছে DDR4 এখন আসি frequency এর কথায়। মিডিয়ামে রয়েছে 3200 mhz আমার মনে হয় বর্তমানে এর চেয়ে কম নেওয়া ঠিক হবে না। তবে আপনি যদি নরমাল ইউজার হন তাহলে এটার কম নিতে পারেন। 

  • টোরেজ:** হার্ড ড্রাইভ (HDD) এবং সোলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD) দুইটি প্রধান স্টোরেজ সংস্করণ আছে। SSD দ্বারা ল্যাপটপের বুট আপ এবং অ্যাপ্লিকেশন চালানো গতিময় হতে পারে, এছাড়াও এটি বেশি দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেস দেয়। বর্তমানে HDD এটা নেওয়া ঠিক হবে না কারণ এটাতে ডাটা এক্সেস দ্রুত করা জানা। অপরদিকে SSDদিয়ে দ্রুত ডাটা এক্সেস করা যায়। এবং ডিভাইসের পারফরম্যান্সও যথেষ্ট ভালো হয়।

  • 5. **গ্রাফিক্স কার্ড:** যদি আপনি গেমিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান, তাহলে একটি প্রিমিয়াম গ্রাফিক্স কার্ড সহ ল্যাপটপ নেওয়া উপযুক্ত হতে পারে। অন্যথায় যে প্রসেসরে গ্রাফিক্স কার্ড বিল্ডআপ করা আছে সেই প্রসেসরের ল্যাপটপ নিতে পারেন। 

  • 6. **স্ক্রীন সাইজ এবং রেজলুশন:** স্ক্রীনের সাইজ এবং Resolution আপনার উপযুক্তি এবং ব্যবহারের ধরণের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি গেমিং করেন এবং মাল্টি টাস্কিং করেন তাহলে আমার মনে হয় স্কিন সাইজটা একটু বড় নেওয়া ভালো। এবং Resolution 1900×1200 নিলে ডিসপ্লের আউটপুট খুবই ভালো আসবে।  কারণ Resolution যত বেশি হবে ডিসপ্লে আউটপুট তত বেশি শার্প এবং কালারফুল হবে।

  • 7. **ব্যাটারি লাইফ:** আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ সাথে নিয়ে বের হতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ উপকারী হতে পারে। ব্যাটারি যদি বেশিক্ষণ চার্জ নাই টিকে তাহলে ল্যাপটপ নিবেন কেন  ডেক্সটপ নিলেই তো ভালো হয়। এজন্য অবশ্যই ব্যাটারির চার্জ যত বেশি বেকাপ দিবে ততই আপনার জন্য ভালো। 

  • 8. **পোর্টস এবং কানেক্টিভিটি:** আপনার প্রয়োজনে সেটআপের অনুযায়ী ডিফল্ট পোর্ট এবং কানেক্টিভিটি আপনার কাজগুলি সহজ করতে সাহায্য করতে পারে। 

  • 9. **ব্র্যান্ড:** পপুলার ব্র্যান্ড সাধারণভাবে বিশ্বস্ততা এবং পরিস্থিতি দেয়। গুড ব্র্যান্ডগুলি গুণমান এবং সাপোর্টে বেশি মনোনিবেশ দেয়। শুধুমাত্র ল্যাপটপ নয় যে কোন পণ্য কিনতে গেলে ব্র্যান্ডেরটাই ভালো। কারণ ব্র্যান্ড মানেই বিশ্বস্ততা। তবে নন-ব্র্যান্ডও নেওয়া যায় যদি তাদের আফটার সেন্স সার্ভিস ভালো থাকে। 

  • 10. **বাজেট:** সর্বশেষ, আপনার বাজেট সেট করে নিন। আপনি যদি একটি প্রিমিয়াম ল্যাপটপ খুঁজছেন, তাহলে আপনার বাজেট সমৃদ্ধি করার জন্য যথাসম্ভাব থাকতে পারে। 

Laptop Brand List-

  1. Apple 
  2. Hp
  3. Lenovo
  4. Dell
  5. Acer 
  6. Aus
  7. Samsung
  8. Microsoft Surface
  9. Razer
  10. Msi


এই উপায়গুলি মনে রাখেন এবং আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেটের উপর নির্ভর করে সঠিক ল্যাপটপ নির্বাচন করুন।

ধন্যবাদ 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url