Itel s23
Itel s23 hot news
বর্তমানে ইউটিউব, ফেসবুক এবং সোশ্যাল মিডিয়ার যে প্ল্যাটফর্মেই যাই না কেন শুধুমাত্র একটা বিজ্ঞাপনই দেখতে পাই সেটা হচ্ছে itel s23
আর দেখতে পাবোই না কেন আইটেল কোম্পানি মাত্র 12000 টাকার ভিতরে যে কনফিগারেশন দিচ্ছে তা অন্য কোন কোম্পানি আজ পর্যন্ত দিতে পারেনি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি সুবিধা থাকছে এই মোবাইলে।
Look & Design
এক কথায় বলতে গেলে স্বল্প বাজেটের মধ্যে এই মোবাইলের Look এবং Design কে পেছনে ফেলার মত মোবাইল দ্বিতীয়টি নেই। এই মোবাইলটি দুইটি কালার ভেরিয়েন্ট এ পাওয়া যায়। আর কালার দুটি দেখতে খুবই চমকপ্রদ। কালার দুটি হলো 1. Mystery white এবং 2. Starry Black.
প্রথম কালারটি ইনডোরে একরকম কালার এবং আউটডোরে ভিন্ন রকম কালার লক্ষ্য করা যায়। আর ব্যাক প্যানেলের ক্যামেরা সেটআপ এর ডিজাইন দেখতে খুবই ইউনিক লাগে। তাছাড়া এই ফোনটি মোটামুটি ভালই স্লিম। তার সত্বেও কিন্তু মোবাইলটিতে 5000mh এর ব্যাটারি ইউজ করা হয়েছে।
Body
ব্যাক প্যানেলটা দেখতে বেশ চমকপ্রদ হলেও এটা কিন্তু প্লাস্টিক বডি। Body Dimension 8.4 mm thin. Weight 195g.
Display 📱
এর ডিসপ্লে সেকশনে থাকছে 6.6 inch মাপের Ips Lcd প্যানেল। Resolution Hd+ 1612*720 (269 ppi). তবে কোন ডিসপ্লে প্রটেকশন থাকছে না এই প্যানেলে। এখানে itel আমাদেরকে একটু হতাশ করেছে। তবে 90hz rate থাকছে ডিসপ্লে এই দিক বিবেচনা করলে কম বাজেটের ভিতরে এটা মোটামুটি বেশ ভালোই করেছে। আর হে ডিসপ্লেটা থাকছে minimal notch. যা এই বাজেট হিসাবে ঠিকঠাকই আছে।
Camera
Back-এই ডিভাইসটির ব্যাক প্যানেলে থাকছে দুটি ক্যামের। একটি 50 মেগাপিক্সেলের এআই শুটার আর অপরটি Qvga ক্যামেরা। এখন Qvga এই ক্যামেরাটি আসলে কেমন তা আমি নিজেও জানিনা তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলাম না। তবে 50 মেগাপিক্সেলের এআই শুটার টা বেশ কাজের। ডে লাইটে ঠিকঠাকই পারফরম্যান্স দেয় তবে লো লাইটে পারফরম্যান্স কিছুটা খারাপ দেখা যায়। তবে বাজেট রেঞ্জের কথা মনে করলে এই ক্যামেরা মোটামুটি ঠিক আছে।
Front- আর এই ডিভাইসের ফ্রন্ট সাইটে থাকছে 8 মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। যা দিয়ে মোটামুটি কোনোরকম সেলফি তোলা যায়।
দুটি ক্যামেরা দিয়েই full hd (1080) 30 এফপিএস এ ভিডিও রেকর্ডিং করা যায়। তবে হ্যাঁ ভিডিও করার সময় ভালো লেভেলের স্টেবিলিটি পাওয়া যায় না। এখন যদি ক্যামেরা ফিচারস এর দিকে লক্ষ্য করি তাহলে এখানে Autofocus, Led Flash, 1.6 depth.
Battery
বরাবরের মতই itel 5000mah এর লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি দিয়েছে এই মোবাইলটিতে। আর চার্জার হিসেবে রেখেছে 10 ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। তবে 5000mh এর ব্যাটারি হিসেবে 10 ওয়াট যথেষ্ট নয়। এখানে 18 ওয়াটের দিলে আমার মনে হয় ভালো হতো। itel এখানেও কমতি রেখেছে।
Performance
itel অপারেটিং সিস্টেমে রেখেছে এন্ড্রইড 12 যা পরবর্তীতে আপডেট করা যাবে কিনা সে ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আর চিপসেট হিসেবে রেখেছে Unisoc T606 (12 nm) Octa Core প্রসেসর। এই প্রসেসরটি মোটামুটি বেশ পুরনো। আমার মনে হয় এখানে মিডিয়াটেকের কোন প্রসেসর দিলে ভালো হতো। কারণ Unisoc পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে মিডিয়াটেক থেকে অবশ্যই পিছিয়ে থাকবে।
আর প্রসেসর সম্পর্কে বিস্তারিত একটি পোস্ট আছে আমার এ ব্লগারে চাইলে আপনারা সেটি পড়তে পারেন। প্রসেসর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
Storage
স্টোরেজ হিসেবে এই মোবাইলটিতে দেওয়া হয়েছে ৮ জিবি রেম যার সাথে আরও ৮ জিবি ভার্চুয়াল রেম পাওয়া যাবে। অর্থাৎ মোট ১৬ জিবি রেম দিচ্ছে আইটেল। আর রম হচ্ছে ১২৮ জিবি। আবারো এইদিক থেকে ইটেল কিন্তু 12000 টাকা বাজেটের ভিতরে বেস্ট কিছু দিল গ্রাহকদেরকে।
Others
সাউন্ড হিসেবে তারা রেখেছে বটমে একটি লাউডস্পিকার, একটি মাইক্রোফোন, এবং টপে কথা বলার জন্য একটি স্পিকার। এছাড়া 3.5mm হেডফোন জ্যাক তো থাকছেই। এবং সিকিউরিটি হিসেবে থাকছে ফেইস লক সাইট মাউন্টেড ফিঙ্গার প্রিন্ট। আর সেনসর হিসেবে Finger print, Accelerometer এবং Proximity
উপসংহার-
এই মোবাইলটিতে যেমন ভালো দিক রয়েছে কেমন কিছু খারাপ দিক রয়েছে। প্রথমে যদি বলি তাহলে আসে পারফরম্যান্সের কথা। এখানে যে প্রসেসরটি দেওয়া হয়েছে সেটা বেশ পুরনো একটি প্রসেসর। আর এর পারফরমেন্সও আহামরি ভালো মানের কিছু না। আর দ্বিতীয়ত মোবাইলটিতে 5000 এমএইচ এর ব্যাটারি দেওয়া হলেও তা চার্জ করার জন্য দেওয়া হয়েছে মাত্র 10 ওয়াটের একটি চার্জার এটা যুগ উপযোগী হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তবে ওভারঅল যদি প্রাইসের কথা বিবেচনা করি এখানে স্টোরেজটা কিন্তু বেশ ভালো দিয়েছে যা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে হ্যাঁ যারা কম দামের ভিতরে দেখতে ভালো এবং পারফরমেন্স মোটামুটি হলেও চলবে এরকম মোবাইল কিনতে চান তাদের জন্য এই মোবাইলটি বেস্ট চয়েস। কিন্তু যদি আপনি মোবাইল দিয়ে গেমিং করতে চান বা হেব্বি ইউজার হয়ে থাকেন তাদের জন্য আমি এই মোবাইলটা সাজেস্ট করতে পারলাম না কারণ এই মোবাইলের প্রসেসর সেকশনটি কিন্তু বেশ দুর্বল।
FAQ-
Itel s 23 ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কেমন?
উত্তর: অবশ্যই নির্দ্বিধায় এই মোবাইলটি মোটামুটি ইউজ করার জন্য পারফেক্ট একটি চয়েস।
Itel s 23 দিয়ে গেমিং করা যাবে কি?
এই মোবাইল দিয়ে গেমিং করা যাবে। তবে দীর্ঘক্ষণ সময় গেমিং করলে মোবাইলে ল্যাগিং ইস্যু দেখা দিতে পারে।
Itel s 23 দিয়ে মাল্টিটাস্কিং করা যাবে কি?
হ্যাঁ, যেহেতু এই মোবাইলটিতে রয়েছে 8 জিবি রেম এবং 128 জিবি রম। সুতরাং খুব ভালোভাবেই এই মোবাইল দিয়ে মাল্টিটাস্ক করা সম্ভব।
Itel s 23 এর ক্যামেরা পারফরমেন্স কেমন?
উত্তর: এই মোবাইলের রয়েছে 50 মেগাপিক্সেলের এআই শুটার যা দিয়ে মোটামুটি ফটোগ্রাফি করা যেতে পারে। তবে আহামরি লেভেলের পারফরমেন্স পাওয়া যাবে না।
Itel s 23 চার্জিং ব্যাকআপ কেমন?
যেহেতু এই মোবাইলটিতে 5000mh এর লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি ইউজ করা হয়েছে সুতরাং 90 hz রিফ্রেশ রেটে রান করলেও একদিন অনায়াসে চার্জিং ব্যাকআপ দেবে বলে আশা করা যায়। আর যদি 60 hz রিফ্রেশ রেটে চালানো হয় তাহলে দুইদিন চার্জিং ব্যাকআপ পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।