5g নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ

5G নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশ

5g

 মার ব্যক্তিগতভাবেই আমি বলছি, আমি ২০১২ সাল থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করি। তখন কিন্তু বাংলাদেশে স্মার্টফোন ছিল না এবং কম্পিউটারও  ছিল না তেমন একটা অফিস আদালত ছাড়া। দেখা যেত যে, যারা উচ্চমধ্যবিত বা ধনী পর্যায়ের লোক তারা শখের বসে কম্পিউটার কিনত। এবং যারা ব্যবসা করত যেমন ফ্লেক্সিলোড, কম্পিউটার দিয়ে অডিও ভিডিও গান, ইমেজ এগুলো লোড করে তারা ইনকাম করত। তখন বাংলাদেশে 2G নেটওয়ার্ক ছিল। তারপর আসলো 3G নেটওয়ার্ক। যা দিয়ে বেশ ভালো ভাবেই কাজ করা যাচ্ছিলো। তারপর যখন আরো আপডেটের প্রয়োজন হল তখন আসলো 4G নেটওয়ার্ক।মানুষের কাজ এতটা দ্রুতগতিতে হতো না এখন যেমন বর্তমানে হয়ে থাকে। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে মার্কেটিং এবং অন্যান্য সেবা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার দিয়েই কিন্তু সম্পন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু এই কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনকে দ্রুতগতিতে কাজ করানোর জন্য দরকার হাই স্পিড ভালো মানের নেটওয়ার্ক। এখন বাংলাদেশে 4G নেটওয়ার্ক আছে 4G নেটওয়ার্ক কিন্তু বেশ স্পিড এবং স্মুথলি পারফরম্যান্স করে। এক কথায়, নেটওয়ার্কের জেনারেশন যত আপডেট হবে ডাটা এক্সেস এবং  অন্যান্য কাজ তত বেশি দ্রুত গতিতে  হবে।  

আর ২০১২ সালে যখন ইন্টারনেট চালাতাম তখন একটা ক্লিক করলে সর্বনিম্ন ৩০ সেকেন্ড লাগতো লোডিং হতে। তারপর মেইন পেইজে ঢোকা তো অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল। যুগের ক্রমধারায় অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করে বাংলাদেশও কিন্তু টেকনোলজির দিক দিয়ে দেশ এগিয়ে আছে। আশা করা যায় বাংলাদেশে ২০২৫ সালের মধ্যে 5G নেটওয়ার্ক আসবে। 

কোন নেটওয়ার্কের স্পিড কত?

  • 2G GSM - 30-50 kbps (Edge technology)
  • 3G HSPA (HSPA+) 5-8 Mbps
  • 4G LTE 50-80 mbps5g NR 150-200 Mbps
5G mobile with gaming processor only 25000 tk

5G নেটওয়ার্ক উন্নতির একটি শেখর। বাংলাদেশে ফাইভ-জি (5G) নেটওয়ার্কের সম্ভাবনা বেশ উচ্চ দেখা যাচ্ছে। নিম্নলিখিত কারণে এই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে:
  • দ্রুত ইন্টারনেট গতি: বাংলাদেশে অনুমান করা হয়েছে যে, 5G নেটওয়ার্ক সর্বোত্তম ইন্টারনেট গতি প্রদান করবে, যা ব্যবহারকারীদের দ্রুত ব্রাউজিং, ভিডিও স্ট্রিমিং, গেমিং ইত্যাদি উপভোগ করার সুযোগ দেবে।
  • উচ্চ দরকার সেবা: স্মার্টফোন ব্যবহার ও ডিজিটাল সেবার দায়িত্ব বাড়াতে, 5G নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান করতে ব্যবহারকারীদের সক্ষম করবে।
  • স্মার্ট সিটি এবং আইওটি: 5G নেটওয়ার্ক স্মার্ট সিটি প্রকল্প এবং আইওটি (Internet of Things) প্রযুক্তির উন্নত ব্যবহার সহজ করতে সাহায্য করতে পারে, যা শহরের পরিবেশ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং: 5G নেটওয়ার্ক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং মেশিন লার্নিং প্রয়োগের সুযোগ প্রদান করতে সাহায্য করতে পারে, যা নতুন তথ্য বিশ্লেষণ এবং নির্ধারিত নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে।
  • অর্থনৈতিক বিকাশ: 5G নেটওয়ার্ক অর্থনৈতিক বিকাশে সাহায্য করতে পারে, সবচেয়ে কম ল্যাটেন্সি ও দ্রুত ডেটা ট্রানসফারের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন এবং ব্যবসায়িক কাজ সহজ করতে পারে।
তবে, 5G নেটওয়ার্কে এগিয়ে যাওয়া সমস্যাগুলি সমাধান করতে বিভিন্ন প্রয়োগ এবং নীতি প্রয়োগ করা প্রয়োজন যাতে নেটওয়ার্ক সামগ্রী সুরক্ষিত এবং সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায়।

 5G নেটওয়ার্ক একটি নতুন প্রয়োগ যা বিভিন্ন সুবিধাদির সাথে আসতে পারে:

  • দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ: 5G নেটওয়ার্ক বিশেষভাবে দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে, যাতে ডাউনলোড এবং আপলোড গতি অত্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়।
  • ন্যাটিভ 5G এপ্লিকেশন: 5G নেটওয়ার্কের সাথে ন্যাটিভ 5G এপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায়, যা ব্যবহারকারীদের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা অফার করতে সাহায্য করে।
  • লো ল্যাটেন্সি: 5G নেটওয়ার্ক লাইটস্পীড ল্যাটেন্সি প্রদান করে, যা সময়ের সাথে সাথে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ বাড়ায়।
  • মোবাইল ব্রডব্যান্ড: 5G নেটওয়ার্ক মোবাইল ডিভাইস গুলির জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদান করে, যা ব্যবহারকারীদের ঘরে থেকে হাই-গ্রেড ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করে।
  • সহজ মেশিন টু মেশিন যোগাযোগ: 5G নেটওয়ার্ক মেশিন টু মেশিন (M2M) যোগাযোগ সহজ এবং অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা আইওটি (IoT) ডিভাইস এবং স্মার্ট সিস্টেমগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • উচ্চ দরকার সংক্রান্ত সেবা: 5G নেটওয়ার্ক উচ্চ দরকার সংক্রান্ত সেবা যেমন ভিডিও স্ট্রিমিং, ভাইডিও কনফারেন্সিং, গেমিং, ভাইরাল রিয়ালিটি, ইত্যাদির জন্য উন্নত প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।
এগুলি মোবাইল প্রযুক্তিতে 5G নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ কেনো 5G নেটওয়ার্ক আসার সম্ভাবনা বেশি?



বাংলাদেশে 5G নেটওয়ার্ক আসার সম্ভাবনা বেশি কারণের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ নিম্নলিখিত:

  • বিগত তথ্য বাজার: বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং মোবাইল ডেটা ব্যবহারে গতিতে বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে, যা 5G নেটওয়ার্কের দ্রুত ব্রাউজিং, ভিডিও স্ট্রিমিং, গেমিং ইত্যাদি উপভোগ করার প্রয়োজনতা দেখা দেয়।
  • স্মার্টফোন বৃদ্ধি: বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহার এবং ডিজিটাল সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা 5G নেটওয়ার্কের আপত্তিকর ব্যবহারকারীদের দ্বারা ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেড়েছে।
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ উন্নতি: বাংলাদেশ সরকার সারা দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ উন্নতির লক্ষ্য সেট করেছে, এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানে গুরুত্ব দেয়। 5G নেটওয়ার্ক এই লক্ষ্যের সাথে সামগ্রিক মিল খায়।
  • ব্যবসায়িক বিকাশ: 5G নেটওয়ার্ক ব্যবসায়িক বিকাশে সাহায্য করতে পারে, সবচেয়ে কম ল্যাটেন্সি ও দ্রুত ডেটা ট্রান্সফারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন সহজ করতে পারে।
  • আইওটি এবং স্মার্ট সিটি: প্রযুক্তিতে নতুন গড়িতে, বাংলাদেশে আইওটি (Internet of Things) এবং স্মার্ট সিটি প্রকল্পগুলির প্রয়োগ প্রবৃদ্ধি পাচ্ছে। 5G নেটওয়ার্ক এই প্রয়োগগুলির সাথে উচ্চ দ্রুত ডেটা প্রযুক্তি বেশি সহজ করতে সাহায্য করতে পারে।

সর্বমোট, বাংলাদেশে 5G নেটওয়ার্কের সম্ভাবনা এটির গ্রাহক দ্বারা দ্বারা দেখা যাচ্ছে যে, তারা সাবান্তজিত করতে প্রস্তুত।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url