মোবাইল ফোনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

 মোবাইল ফোনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস


বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন মানুষের জীবনের অনন্য অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন লোক খুব কমই পাওয়া যায়। প্রায় ৯৭% মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কেউ কেউ আবার একাধিক মোবাইল ফোনও ব্যবহার করে থাকে। বন্ধুরা আজকে আমি মোবাইল ফোনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আপনাদের সামনে তুলে ধরব। 
 

history of mobile


মোবাইল ফোনের ইতিহাস একটি দ্রুতগতি অধীনে উন্নতি পেয়েছে, যা প্রায় একশত বছরের স্থায়ীত্ব পেয়েছে। পৃথিবীর সর্বপ্রথম মোবাইল টেলিফোন একটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীকে বিনামূল্যে কথা বলার সুযোগ দিয়েছিল, কিন্তু এটি একটি সঠিক হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস নয় এবং আধুনিক মোবাইল ফোনের মতো কাজ করেনি। এটি একটি রেডিও টেলিফোন বলে পরিচিত ছিল এবং এটি বিশেষ কার্যকরি দক্ষতা বহন করতে পারতোনা। কোনরকম শুধু একে অপরের সাথে কথা বলা যেত। কিন্তু মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে ধাপে ধাপে এতটা উন্নতি সাধন করেছে যে সত্যিই কল্পনার বিষয়। মানুষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে মূল্যায়ন করে পৃথিবীকে নিয়ে যাচ্ছে সফলতার ধার প্রান্তে।


নীচে এই প্রথম মোবাইল টেলিফোনের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হল:


বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোন কোনটি? 


radio mobile


বর্ষ: ১৯৪০

ডেভাইসের ধরন: রেডিও টেলিফোন

উদ্ভাবক: আলবার্ট হামিং (Albert J. Hamming)

কার্যকারিতা: এই রেডিও টেলিফোনটি শহরের একটি সক্ষম বিনির্মিত কারখানায় স্থাপন করা হয়।পৃথিবীর প্রথম মোবাইল ফোন আসলে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা গ্রহণ এবং প্রেরণের ক্ষেত্রে একটি আদীত্য ছিল।


 তবে সর্বপ্রথম মোবাইলের কনসেপ্ট পাওয়া যায় ১৯২১ সালে। আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার নাথান বাইল্ড (Nathan B. Stubblefield) একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কথা বলার বলার একটি বেসিক নলেজ রেখে গিয়েছিলেন। সেটি ব্যবহার করেই ১৯৪০ সালে  সর্বপ্রথম রেডিও টেলিফোন তৈরি করা হয়।


 ১৯৪৭:** বেল ল্যাবরেটরিজ তাদের ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা প্রথম বারের মোবাইল টেলিফোন নির্মিত করা হয়, যা প্রথম গেমিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।


১৯৫৬:** জর্জ মার্টিন প্রথম পাবলিক মোবাইল টেলিফোন সেবা শুরু করেন ফ্লোরিডা শহরে, যাতে উদ্যোক্তারা গাড়ির মধ্যে কথা বলতে পারে। এই পরিকল্পনা বেল সিস্টেম হেডকোয়ার্টারস দ্বারা প্রকাশিত হয়, যা মোবাইল ফোন উদ্ভব করে।


১৯৭৩:** মার্টিন কুপার, একজন মোটরোলা ইঞ্জিনিয়ার, প্রথম বারের জন্য একটি সমম্পর্কিত সেলুলার মোবাইল টেলিফোন আবিষ্কার করেন। যা তিনি ১৯৪০ সাল থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন। 

এই মডেলের ফোন মোবাইল টেলিফোনের সমম্পর্কে বিশেষ আপরাধী ছিল। এর পূর্বের মোবাইলে সেলুলার সিস্টেম অর্থাৎ সিম ব্যবহারের সুযোগ ছিলো না। যদিও তখন সেলুলার নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করা হয়নি।


১৯৮০:** প্রথম সেলুলার নেটওয়ার্ক শুরু হয়, যা একটি বড় ধাপ মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি কে উন্নত করার জন্য।


১৯৯১:** ইউরোপে প্রথম সেলুলার নেটওয়ার্ক শুরু হয়, যা GSM (গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন) নামে পরিচিত।


cellular phone



১৯৯২:** নোকিয়া ১০১১ প্রথম ডিজাইন মোবাইল ফোন রিলিজ করে যা বাটন এবং ডিসপ্লের দিক থেকে বেশ আকর্ষণীয় ছিল। 


 ২০০০ সালে নোকিয়া ৮১১০ মোবাইল রিলিজ করে যা ছিল ইন্টারনেট সাপোর্টেড।  


 ২০০৭:** আইফোন প্রাক্তন সেলুলার ফোনের পরিবর্তে একটি নতুন ধাপ সৃষ্টি করে, যা স্মার্টফোনের পথিকৃত পর্যায় শুরু করে। এ সময় nokia, samsung, motorola এবং অন্যান্য কোম্পানিগুলো Java সাপোর্টেট মোবাইল রিলিজ করে যা তৎকালীন সময়ে খুবই চাহিদাপ্রদ ছিলো। 


০১০:**এসময় বিভিন্ন কোম্পানি টাচস্ক্রীন মোবাইল রিলিজ করে যাতে বিভিন্ন অ্যাপ সাপোর্ট করতো।


**12. ২০১০:** স্মার্টফোনের জন্য প্রথম এপ স্টোর, আপেল এপ স্টোর, তাদের স্মার্টফোন ইউজারদের একটি আপনার এপ্লিকেশন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার সুযোগ দেয়।

আর এরপরই লঞ্চ হয় অ্যান্ড্রয়েড এবং উইন্ডোজ মোবাইল।এই সময়সীমায়, মোবাইল ফোন বৃদ্ধি এবং উন্নতি পেয়েছে, এবং এটি আমাদের দৈনিক জীবনে একটি অতুলনীয় অংশ হয়ে উঠেছে।


বন্ধুরা এই ছিল মোবাইল ফোনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আমাদের ফলো বাটনে ফলো করুন এরকম ইনফরমেটিভ পোস্ট পাওয়ার জন্য। 

ধন্যবাদ সবাইকে 


Next Post Previous Post
1 Comments
  • Nasir
    Nasir ১৯ আগস্ট, ২০২৩ এ ৭:২৩ PM

    Right

Add Comment
comment url