ব্র্যান্ড VS নন ব্যান্ড মোবাইল আপনি কোনটি কিনবেন? কেন কিনবেন?

ব্র্যান্ড vs নন ব্র্যান্ড মোবাইল কোনটি আপনার জন্য?  


Brand vs non brand mobile


মোবাইল ফোন, বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস। প্রায় ৯৭% মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এর মধ্যে কেউ কেউ আবার একাধিক মোবাইল ফোনও ব্যবহার করে। আর বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮৫%। ৮৫% স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর অর্ধেক ব্রান্ডের মোবাইল ইউজ করে  আর অর্ধেক নন ব্র্যান্ডের মোবাইল ইউজ করে। আজকে আমি এই পোস্টে ব্র্যান্ড এবং নন ব্র্যান্ড মোবাইলের পার্থক্য, সুবিধা অসুবিধা আপনার আপনাদের মাঝে তুলে ধরব ইনশাল্লাহ। 

মোবাইল ফোন নির্বাচনে ব্র্যান্ড এবং নন-ব্র্যান্ড এর মধ্যে কোনটি সেরা তা ব্যক্তিগত পছন্দ এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজনে ভিত্তি করে। এটা প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য, বাজারের মূল্য, সম্প্রদায়িক সমর্থন, ডিজাইন, ক্যামেরা গুণগত যোগ্যতা, পারফরমেন্স, সম্প্রদায়িক মোবাইল পরিষেবা, সমর্থনের মাত্রা এবং অন্যান্য ফিচার সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিগত 


পছন্দের উপর ভিত্তি করে।

ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে, কিছু প্রসিদ্ধ মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড যেমন Samsung, Apple, Google, OnePlus, Xiaomi ইত্যাদি। এগুলো সাম্প্রদায়িক সমর্থন, দুর্দান্ত পারফরমেন্স এবং উচ্চ মূল্যের সাথে আসে।

নন-ব্র্যান্ড মোবাইল ফোন গুলি সাধারণভাবে অনেক কম দামে পাওয়া যায়, কিন্তু অসাধারণ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বা অত্যধিক বৈশিষ্ট্য প্রয়োজনে কিছু দ্বিধা থাকতে পারে।

এই কারণে, আপনি নিজের প্রয়োজন এবং বাজারের বিভিন্ন মোবাইল ফোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার পরে ব্যক্তিগত পছন্দ অনুসারে সেরা মোবাইল ফোনটি নির্বাচন করা উচিত।


  • ব্র্যান্ডের মোবাইলের সুবিধা-

ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের অনেক সুবিধা এবং উপকারিতা উপলব্ধ করে। এই সুবিধা গুলো ব্র্যান্ডের কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত উন্নতি, ডিজাইন, প্রদর্শন এবং সেরা ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এই সুবিধা গুলোর মধ্যে নিম্নলিখিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ রয়েছে:

  1. উচ্চ গুণগত প্রদর্শন: প্রসিদ্ধ মোবাইল ব্র্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স এবং পারফরমেন্স গুণগত উন্নতি উপলব্ধ করার জন্য প্রযুক্তিগত উন্নতি প্রয়োজনীয় উপায়ে তৈরি করা হয়েছে। সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং কম্পোনেন্ট গুলোর ব্যবহার করে, ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন উচ্চ পারফরমেন্স ও ক্রিয়াশীলতা প্রদান করতে সাহায্য করে।

  2. উন্নত ক্যামেরা গুণগত যোগ্যতা: ব্র্যান্ডের প্রযুক্তিগত উন্নতি দ্বারা মোবাইল ফোনের ক্যামেরা সমৃদ্ধ বৈশিষ্ট্য দিয়ে উভয় আকর্ষণীয় ফটো এবং ভিডিও সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এটি ছবি আকর্ষণ এবং উচ্চ মানের সিএস এবং ভিডিও রেকর্ডিং উপাদানের কাছে দ্বারা সম্মানিত হয়।

  3. ডিজাইন এবং মান: প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ডিজাইন এবং মান প্রায় এক্সপ্রেস করে। এগুলো কম্প্যাক্ট, আকর্ষণীয়, কাঠামোগত এবং উচ্চ মানের মাস্ট হয়। উচ্চ গুণগত তাকনিক সম্পর্কিত সামগ্রী ব্যবহার করে, ব্র্যান্ড সেরা ডিজাইন এবং মান উপলব্ধ করে।

  4. আধুনিক সুবিধা এবং সামগ্রী: ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন সাধারণভাবে আধুনিক ফিচার এবং সামগ্রী উপলব্ধ করে। উচ্চ প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার দ্বারা এগুলো অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ এবং ব্যবহারকারীর দরকারি প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করে।

  5. ব্যাটারি জীবন এবং পারিষ্কারতা: প্রসিদ্ধ মোবাইল ব্র্যান্ড প্রযুক্তিগত উন্নতি দ্বারা ব্যাটারি জীবন ও পারিষ্কারতা উন্নত করে। ব্যাটারি জীবন সম্পর্কে সম্প্রদায় ব্র্যান্ড সামগ্রী ব্যবহার করে যাতে দ্বিধা ছাড়াই ফোন ব্যবহার করা যায় এবং পরিষ্কার সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই সুবিধাগুলি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন থাকা প্রতিটি মডেলের ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। ব্র্যান্ড সেরা মোবাইল ফোন নির্বাচন করার জন্য, ব্যক্তিগত পছন্দ, প্রয়োজন, বাজারের মূল্য, সমর্থন, এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি বিবেচনা করা উচিত।


  • এবার আসি নন ব্র্যান্ড মোবাইলের 

অসুবিধা নিয়ে।নন-ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন গুলোর কিছু সাধারণ সুবিধা গুলো রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখিত -

  1. বৈশিষ্ট্য এবং প্রযুক্তির মধ্যে প্রতিস্থাপন: প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং আধুনিক বৈশিষ্ট্য নন-ব্র্যান্ড মোবাইল ফোনে সাধারণভাবে প্রস্তুত থাকে না। এই ফোন গুলো সাধারণভাবে ব্র্যান্ডের প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং আধুনিক বৈশিষ্ট্যের সাথে পার্থক্য থাকতে পারে।

  2. পারফরমেন্সের সমস্যা: নন-ব্র্যান্ড মোবাইল ফোন সাধারণভাবে ব্র্যান্ড মোবাইল ফোনের চেয়ে পারফরমেন্স উন্নত নয়। অধিক সময় এটি প্রস্তুতি স্থানে লাগতে পারে বা অ্যাপ্লিকেশনগুলি মন্তব্য করতে সময় নেয়।

  3. স্থানীয় সমর্থন এবং প্রযুক্তির সমস্যা: নন-ব্র্যান্ড মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সমর্থন এবং প্রযুক্তির সমস্যা থাকতে পারে। যদি এই ফোন সমস্যাযুক্ত হয় বা সমর্থন উপলব্ধ না হয়, তবে সমস্যা সমাধানে সময় লাগতে পারে।

  4. অপরিচিত ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা: নন-ব্র্যান্ড মোবাইল ফোন অপরিচিত ব্র্যান্ড হতে পারে এবং এটি ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা অনুভব করতে পারে। কিছু ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতে পারে যারা এই নতুন ব্র্যান্ড গুলোর সাথে পরিচিত নন।

  5. সম্পর্কের অভাব: ব্র্যান্ড মোবাইল ফোন সাধারণভাবে প্রসিদ্ধ মোবাইল কোম্পানির সাথে বেশি সম্পর্কের সুবিধা সরবরাহ করে। প্রযুক্তিগত সমস্যার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড সামগ্রী তাদের গ্রাহকদের সাথে বেশি সম্পর্ক স্থাপনে প্রয়োজনীয় সমর্থন উপলব্ধ করে।

  6. তাছাড়া নন ব্র্যান্ডের মোবাইল সিকিউরিটি আপডেট দিলে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট দিবে কিনা সে বিষয়ে জানা যায় না।

এগুলি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের সাথে তুলনায় নন-ব্র্যান্ড মোবাইল ফোনের অসুবিধা হতে পারে। তবে এটি মোবাইল ফোনের মডেল এবং সম্প্রদায়ের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন হতে পারে।

মূল কথা: এখন ব্র্যান্ডের মোবাইলের সুবিধা  আছে বলে আর নন ব্র্যান্ডের মোবাইলে কিছু অসুবিধে লক্ষ্য করা যায় বলে তাই আপনি ব্র্যান্ডের মোবাইল ইউজ করবেন এমন কথা আমি বলছি না। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এবং বাজেট অনুযায়ী যে ফোন আপনার জন্য সেরা আপনি সেটা দেবেন।  

   ( ইনফিনিক্স মাত্র ২৫ হাজার টাকায় সেরা গেমিং ফোন সাথে থাকছে গেম খেলার জন্য যাবতীয় সামগ্রী) 

 (আইটেল মোবাইল ৮/১২৮ ভেরিএন্টে মাত্র ১২ হাজার টাকায়) 

FAQ

প্রশ্ন : তাহলে কি নন ব্র্যান্ডের মোবাইল কিনা যাবেনা? 

উত্তর : আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং বাজেট অনুযায়ী যদি নন ব্র্যান্ডের মোবাইল নিলে আপনার কাছে সমস্যা মনে না হয় তাহলে নিতে পারেন। 

প্রশ্ন : ব্র্যান্ড এবং নন ব্র্যান্ড উভয় মোবাইলেরই তো ওয়ারেন্টি আছে তাহলে নন-ব্রান্ড নিলে সমস্যা কি? 

উত্তর : ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ডের মোবাইল গুলো যদি নষ্ট হয় আপনার সহজেই কাস্টমার কেয়ার এগিয়ে সার্ভিস নিতে পারবেন অপরপক্ষে যদি নন-ব্রান্ট মোবাইল নষ্ট হয় তাহলে আপনার সহজে সার্ভিস নিতে পারবেন না কারণ নন ব্র্যান্ড মোবাইলের কাস্টমার কেয়ার নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের টাকা খরচ করে থার্ড পার্টি মেকার এর কাছ থেকে সার্ভিস নিতে হবে।  

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url